২৪ আওয়ার্স টিভ: উত্তরবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ‘মন্থার’ প্রভাবে লাল ও কমলা সতর্কতা জারি, প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মন্থা ক্রমেই উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর প্রভাবে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যে দার্জিলিং, কালিম্পং ও জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ার এই চার জেলাগুলিতে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এখানে ২০০ মিলিমিটার অবধি বৃষ্টি হতে পারে। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে উত্তর দিনাজপুর ও কোচবিহারেও।
জগদ্দলে আয়কর হানা! পেছনে অর্জুন সিংয়ের হাত? তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা!
কী কী সতর্কতা জারি?
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার থেকে বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি শুরু হবে উত্তরবঙ্গের অধিকাংশ জেলায়, যা রবিবার পর্যন্ত চলবে। মালদা ও দুই দিনাজপুরে প্রবল বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় মহানন্দা ও আত্রেয়ী নদীর জলস্তর দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নিম্নাঞ্চলগুলিতে জল জমে স্থানীয় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসনের তরফে আগাম সতর্কতা জারি করে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযোগ মিলতেই রামপুরহাটের তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ দলের
অন্যদিকে, পার্বত্য অঞ্চল যেমন দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে প্রবল বৃষ্টির কারণে ভূমিধসের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে স্থানীয় প্রশাসন পাহাড়ি এলাকায় যানবাহন চলাচলে সীমাবদ্ধতা জারি করেছে এবং নাগরিকদের অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। বিশেষ করে নদীর ধার, পাহাড়ি ঢাল ও বিদ্যুতের খুঁটির কাছাকাছি না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে যদিও আপাতত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে, তবুও প্রশাসন সেখানে নজরদারি জোরদার করেছে। দুর্যোগ মোকাবিলা দলের কর্মীরা পাহাড়ি ও নিম্নাঞ্চল এলাকায় টহল দিচ্ছে।
কবে থেকে কমবে বৃষ্টি?
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার বিকেল থেকে ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া স্বাভাবিকের পথে ফিরবে। তবে পরবর্তী কয়েকদিন আকাশ মেঘলা থাকতে পারে এবং বৃষ্টি চলতে পারে। এদিকে, প্রশাসন স্থানীয় মানুষদের সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং প্রশাসনের পরামর্শ মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মন্থা-র কারণে উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা থাকলেও, প্রশাসন জানিয়েছে যে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে যাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যতটা সম্ভব কম রাখা যায়।
















