২৪ আওয়ার্স টিভি: ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে দিল্লীর রাজপথেও নেমেছিল রাজ্যের শাসক শিবির। তবে সেই সময় লাভের লাভ কিছু না হলেও, জারি ছিল সেই লড়াই। দীর্ঘ আইনী লড়াইয়ের পর গত সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায়েই যেনও এবার জয়ের মুখ দেখেছে শাসক দল।
সুপ্রিম কোর্টে এক প্রকার ভরাডুবি বিজেপির! বাংলার প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে বছরের পর বছর ধরে অন্যায় ও প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে কেন্দ্র সরকার। যা শুধুই অনৈতিক নয়, গণবিরোধীও বটে। কলকাতা হাইকোর্টের রায় না মেনে এক প্রকার ঔদ্ধত্য দেখিয়েই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেখানেও মুখ থুবড়ে পড়ে ‘বাংলা-বিরোধী সরকার’। শীর্ষ আদালতের হস্তক্ষেপে প্রানে বল পেতেই বিজেপির বিরুদ্ধে এক যোগে সুর চড়িয়েছে মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার থেকে শুরু করে মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল
‘বাংলার ন্যায্য অধিকারের লড়াইতে বিজেপির ভণ্ডামি ধরা পড়ে গেছে’, এমনটাই তীব্র ভর্ৎসনা করেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। তাঁর কথায়, ‘কেন্দ্রীয় সরকারকে আবারও বাংলার ১০০ দিনের কাজ শুরু করতে হবে। বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের দীর্ঘ বঞ্চনার বিরুদ্ধে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শ্রী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ন্যায্য অধিকার আদায়ের লড়াই প্রকৃত ন্যায় পেয়েছে’। এমনটাই স্পষ্ট জানিয়েছেন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।

এদিকে গেরুয়া শিবিরকে ছেড়ে কথা বলেননি বীরবাহা হাঁসদা ও প্রতিমা মণ্ডলও। আসন্ন বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, ‘২০২৬-এ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেবে বাংলার মানুষ! ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে বিজেপি সরকার যেভাবে বাংলার প্রতি বঞ্চনা করে গিয়েছে, তার প্রমাণ পেয়েই বাংলার প্রতি ন্যায় বিচার দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চলা এতদিনের লড়াইয়ের ফল মিলল— বিজেপির প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে এবভাবেই গর্জে উঠলেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে বছরের পর বছর ধরে বাংলার মানুষের ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছিল কেন্দ্র। এমনকি দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রসঙ্গ টেনেও কেন্দ্র সরকারের তীব্র ভর্ৎসনা করেন প্রতিমা মণ্ডল।
















