২৪ আওয়ার্স টিভি ডেস্ক : ভিনরাজ্যে বাংলা বললেই হেনস্তার অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। একুশের মঞ্চ থেকে সেই ইস্যুতে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা ভাষারক্ষায় এদিন আন্দোলনের ডাক দিলেন তিনি। বাংলার বাইরে ‘মধুরতম’ ভাষায় কথা বললেই জুটছে ‘বাংলাদেশি’ তকমা। দেশের মানুষকে দেশছাড়া করার তোড়জোড় চলছে। এবং বেশিরভাগ ঘটনাই ঘটছে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে। মহারাষ্ট্র, কর্ণাটকে তো ভিনভাষীদের উপর সেসব রাজ্যের ভাষা বলার জন্য চাপ দেওয়ার ঘটনাও কম নয়। পরিস্থিতির গতিপ্রকৃতি দেখে মনে করা হচ্ছে, সমৃদ্ধশালী বাংলা ভাষাকে বাঁচাতে নতুন করে লড়াই শুরু প্রয়োজন। একুশে তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে ঠিক সেই আন্দোলনেরই ডাক দিলেন বাংলার মু্খ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলার জননেত্রীর কথায়, ”বাংলা ভাষার উপর চলছে বিশাল সন্ত্রাস। কে কোন ভাষায় কথা বলবে, কে কী খাবে, তা নিয়েও বলে দেবে ওরা! জেনে রাখবেন, এখানে সবার অধিকার রক্ষিত হবে।” প্রয়োজনে নতুন করে ভাষা আন্দোলনের কথাও বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। আর এখানেই আর পাঁচজন রাজনীতিবিদের চেয়ে নিজের পৃথক চরিত্র ফের প্রমাণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু বলেই ক্ষান্ত হলেন না। মাতৃভাষা রক্ষায় দলের জনপ্রতিনিধিদের নির্দিষ্ট কর্মসূচিও বেঁধে দিলেন। বিবিধের মাঝে মহান মিলনের বাংলায় সব ভাষাভাষীর মানুষকে নিয়ে শনি-রবিবার মিছিল, মিটিংয়ের কথা বললেন তিনি। মমতার কথায়, ”দলের সাংসদদের বলব, সমাজের বিশিষ্টজনেদের সঙ্গে নিয়ে ভাষা শহিদ উদ্যানে ধরনায় বসুন।”
মমতার দাবি, কেন্দ্রের বঞ্চনা সত্ত্বেও তাঁর সরকার বাংলার মানুষের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। অনেক জনহিতকর প্রকল্প রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। আবাস প্রকল্পে গরিবদের বাড়ি দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধর্মস্থানের উন্নতিকল্পে কাজ করেছে তৃণমূল সরকার। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।মমতা বলেন, ‘‘বিজেপির চক্রান্ত তো চলছে। বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদছে। মানুষের কথা বলে না তারা। নির্বাচনের আগে প্রথম সার্কুলার ভারত সরকার পাঠিয়েছে। এক হাজারের উপর লোককে কাউকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা, তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।’’
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘২৭ জুলাই নানুর দিবস থেকে প্রতি শনি ও রবিবার বাংলা ভাষার উপর আক্রমণের প্রতিবাদে মিটিং-মিছিল করুন। প্রতিবাদে নামুন। এ বার শুরু হল ভাষারক্ষার শপথ। ’’ বেশি করে বাংলা বলুন। কোনও ভাষার উপরে আক্রমণ মানব না। আগামী নির্বাচনের রেজ়াল্ট বেরোনো পর্যন্ত চলবে আন্দোলন।’’
















